ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ফরিদপুর জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেছেন দূর্ণীতির দায়ে গ্রেফতার হওয়া দুই সহোদর বরকত-রুবেলের সাথে কোন ধরনের সখ্যতা ছিলোনা আমার। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের রনকাইর বাজারস্থ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
VIDEO : https://youtu.be/_MsmbNToxk8
ফরিদপুরের দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও শুদ্ধি অভিযানের জন্য দলীয় সভানেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মানি লন্ডারিং মামলায় আটক রুবেল-বরকতের দেয়া বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমূলক। তিনি বলেন আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, আমার পিতা তমিজউদ্দিন ফকির এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। আমি ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও কানাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দলকে সুসংগঠিত করার সংগ্রামে অনেকবার কারাবরণ করেছি। ১/১১ সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। রাজবন্দি হিসেবে জেল খেটেছি। ফরিদপুরের প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা শ্রদ্ধেয় বিপুল ঘোষের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এসেছি। রুবেল-বরকত রাজনৈতিকভাবে সবসময় আমার বিরুদ্ধে অবস্থান করেছে। তার এই বক্তব্য আমাকে বিপদে ফেলা ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। আমি তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানিয়ে ২টি সাধারণ ডাইরী (জিডি) করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবী করছি। এসময় সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠার কারণে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনীতি করতে গেলে কারো প্রিয়, কারো অপ্রিয় হতে হয়। সবসময় সবার মন জয় করা সম্ভব হয় না। তিনি ফরিদপুর আওয়ামী লীগে ছদ্মবেশী বিএনপি-জামায়াতের গুপ্তচরদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। সেই সাথে সাংবাদিকদের বলেন আপনারা অনুসন্ধান করুন। আমার কোন খারাপ কাজ থাকলে তা অবশ্যই তুলে ধরুন। দুইবার গণমানুষের বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় কাজ করে যাচ্ছি, কাজ করে যাবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন