ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সাউতিকান্দা মৌজার বিএস ৯৪১ নং দাগের ০৮.১০ শতাংশ জমি প্রাচীর নির্মান করে দখলে নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন পৈত্রিক সুত্রে দাবীদার পাঁচ সন্তান। আট ভাই বোনের মধ্যে তিন শরিকের নিকট থেকে প্রভাবশালী মো. শাহাবুদ্দিন ও শাহ আলী গংরা ৪.০৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে, ক্রয়কৃত জমি ছাড়াও অন্য শরিকদের ০৮.১০ শতাংশ জমিও প্রাচীর নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্ত শরিকদের। এ নিয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিয়ে সমাধান পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। তারা পৈত্রিক সম্পত্তির নিজেদের অংশ দখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দাবীদারদের পক্ষে রাবেয়া বেগম জানান, হিরালদী গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম ওরফে আব্দুর রহমান দাইয়ের সাউতিকান্দা মৌজার বিএস ৯৪১ নং দাগের ৮০ শতাংশ জমির দাবীদার আট ভাই বোন। যার মধ্যে রেলওয়ে কর্তপক্ষ ৬৩ শতাংশ অধিগ্রহন করে। অবশিষ্ট ১৭ শতাংশের মধ্যে দু'টি পৃথক দলিলে তিন ভাইবোন মিলে ৪ দশমিক ৮২ এবং মো. শাহাবুদ্দিন ও শাহ আলীর নিকট ৪.০৫ শতাংশ বিক্রি করে দেন। কিন্তু মো. শাহাবুদ্দিন ও শাহ আলী গংরা কয়েক দিন আগে পুরো জায়গা জুড়ে প্রাচীর নির্মাণ করতে থাকে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ক্রয়কৃত জায়গায় স্থাপনা নির্মান করতে বলেন মো. শাহাবুদ্দিন ও শাহ আলীকে। তাৎক্ষনিক তারা মেনে নিলেও বুধবার থেকে বালু ভরাট করে পুরো জায়গা দখলে নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী, মো. শাহাবুদ্দিন ও শাহ আলী গংরা, দূধর্ষ প্রকৃতির। তারা একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলায় কয়েকদিন পুর্বে জামিন পেয়েছে। ইতপূর্বে তারা পাশ্ববর্তী সাউতিকান্দা গ্রামের একটির হত্যা সহ একাধিক মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিল। সাম্প্রতিক মামলায় জামিনে বের হয়ে তারান আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দাঙ্গাবাজ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় স্থানীয়রাও তাদের মুখোমুখি হতেও ভয় পায়। এ বিষয় নিয়ে থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হচ্ছেনা। তারা বলেন, আমরা পূর্বোক্ত তথা গাছ মালিক হিসেবে শরিকদের নিকট থেকে জমি ক্রয়কারীদের পূর্বপাশের অংশে দখল দিয়ে পশ্চিম দিকে নিজেদের দখলে রেখেছিলাম। কিন্তু তারা পশ্চিম দিকেও দেয়াল তুলে পুরো সম্পত্তি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা কেউ এলাকায় থাকিনা। এই সুযোগে তারা দাপট দেখিয়ে জমিটি দখরে নিচ্ছে।
সত্যতা নিশ্চিতে শাহ আলীকে ফোন দিলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
আর ভাঙ্গা থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক রতন কুমার মন্ডল জানান, দুই পক্ষকে বসিয়ে অভিযোগ শুনেছি। তবে, উভয় পক্ষই জমির পশ্চিম পাশ দিয়ে দখল নিতে চায়। উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই জমির ডিমার্কেশন এবং পার্টিশন ডিড না থাকায় সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। #
.jpg)
.jpg)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন