ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরে কানাইপুরে রুপা ফুড প্রডাক্টস নামের একটি খাদ্য পন্যের করাখানায় তৈরি হচ্ছিলো ঔধষ জাতীয় পন্য স্যালাইন। খবর পেয়ে ওই কারখানায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য পেয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় অভিযান চালিয়ে সিলগালা করে দিয় কারথানাটি। একই সাথে কারখানা মালিককে দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। ওই কারখানায় একই সাথে বিভিন্ন নামী দামী ব্র্যান্ডের শিশু খাদ্যের মোড়কের সদৃশ্য মোড়কে তৈরী হচ্ছিল নানা ধরনের শিশু খাদ্যও।
গোয়েন্দা সংস্থার এনএসআই’র সূত্র জানায়, বেশ কয়েকদিন আগে তারা ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের জাফর মোল্যার মালিকানাধীন রুপা ফুড প্রডাক্টস নামের এই প্রতিষ্ঠানটির খোজ পান। যেখানে নকল স্যালাইন বানানো হয়। খোজ পাওয়ার পরে ছদ্মবেশে সরেজমিনে তদন্তে নামে এনএসআই। তদন্তে নেমে নকল স্যালাইন বানানোর বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয় ওই কারখানায়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শাহাদাৎ হোসেন জানান, আসল এসএমসি ওরস্যালাইনের সাথে মোড়কে কোন পার্থক্য নেই। স্যালাইন কোন খাদ্য পন্য নয়, এটি ঔষধী পন্য। স্যালাইন বানাতে গেলে যে ধরনের অনুমতি লাগে তা নেই এই কারখানা মালিকের। একই সাথে অদক্ষ কর্মী দিয়ে নিরাপত্তাহীনভাবে করা হচ্ছিল স্যালাইনের প্যাকেজিং। এছাড়াও হুবুহ মোড়ক নকল করাও অপরাধ। স্যালাইন ও খাদ্যপন্য মজুদ করার যে প্রক্রিয়া সেটাও মানা হয়নি এখানে। এসকল অপরাধে কারখানা মালিক জাফর মোল্যাকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে কারখানা ও গোডাউন সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তার কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে কারখানা ও গোডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে আরো জানায়, ওই কারখানায় নামী দামী ব্র্যান্ডের চিপস, চানাচুর, বুট, মটর ভাজার মোড়কের আদলে মোড়ক বানিয়ে বানানো হচ্ছে নিম্মমানের পন্যও। এসব পন্য শহরতলী ও দুর্গম চরাঞ্চলে বিক্রি করা হচ্ছিল। যা সাধারণ ক্রেতারা নামী ব্র্যান্ডের পন্য মনে করেই ক্রয় করে আসছিল।
জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর বজলুর রশীদ জানান, স্যালাইনসহ খাদ্যপন্য সংরক্ষন করার যে নিয়ম তাও মানা হয়নি এখানে। এভাবে রাখা হলে সঠিক পন্যের মানও নষ্ট হতে পারে। এদের স্যালাইন তৈরীর কোন বৈধ পেপারস নেই। তিনি আরো জানান, একই অপরাধে কয়েক মাস আগে এই প্রতিষ্ঠানকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। তখন কারখানা মালিক মুচলেকা দিয়েছিল এধরনের অপকর্ম আর করবেন না, কিন্তু তিনি তার কোন অপকর্মই বন্ধ করেননি।
অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বিকার করে তার বৈধ কাগজপত্র আছে বলে দাবী করেন অভিযুক্ত কারখানা মালিক জাফর মোল্যা। #
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন