ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো আজ চারজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ফমেকে টেষ্টের জন্য জেলার ৫০ জনের নমুনা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার তিনজন ও সদর উপজেলার একজন শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এরমধ্যে গতরাতে ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টাস থেকে আসা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর এলাকার সৌরভ নামে এক পুলিশ সদস্যর করোনা পজিটিভ হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মহসিন মিয়া জানান, সোমবার (২৭ এপ্রিল) জ্বর, মাথা ব্যাথা ও বুকের শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলার আলগী ইউনিয়ন থেকে দুজন এবং ভাঙ্গা পৌরসভার হুগলা ডাঙ্গী এলাকা থেকে অপর একজন নার্স ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিতে আসেন।
এসময় কোভিড-১৯ এর জন্য হাসপাতালের পৃথক কর্নার থেকে তাদের চিকিৎসাকালে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সন্দেহ হলে তাদের সম্মতিতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়।
আজ মঙ্গলবার পরীার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর আমরা অবগত হতে পেরেছি ওই তিন ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ রয়েছে।
ভাঙ্গায় প্রথমবারের তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হলো এরা হলেন আলগী ইউনিয়নের রুবেল শেখ (২২), জোসনা বেগম (৪০) ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শরিফা বেগম (৪৩)।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভাঙ্গায় এই প্রথম তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুজন একই ইউনিয়নের অন্যজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স। আমরা এখন এই বিষয়টি নিয়ে করনীয় নির্ধারণ ঠিক করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।
অপরদিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত পিসি আর ল্যাব এ টেস্টে সদর উপজেলার একজন করোনা পজিটিভ কেস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত সৌরভ (পুলিশ কনস্টেবল) কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এ পদায়িত এবং সোমবার রাতে বাড়িতে আসেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা বলেন, আমরা এই সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তার বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে এবং তাকে উপজেলা প্রশাসনের প থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি আমার মোবাইল নম্বরটি তাকে প্রদান করা হয়েছে যাতে ইমারজেন্সি হলে তিনি সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এলাকার লোকজনকে ও সতর্ক করা হয়েছে যাতে সৌরভ থেকে আর কারো আক্রান্তের খবর পাওয়া না যায়।
এদিকে এনিয়ে জেলায় মোট ১২জন করোনা রোগি শনাক্ত হলো।
প্রসঙ্গত ফমেক হাসপাতালের করোনা ডিটেকটেড হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ছাড়াও উপসর্গ নিয়ে সন্দেহভাজন আরো ৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে করোনার ভাইরাসের নমুনা পরীার ল্যাব পিসিআর স্থাপনের পর গত ২০ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ৭৫২জনের নমুনা পরীা করা হয়েছে। এতে ২৩জনের ফল পজিটিভ এসেছে।
ফমেক অধ্য প্রফেসর এস এম খবিরুল ইসলাম জানান, আট দিনে ফরিদপুরের ৪১১জনের এবং গোপালগঞ্জ জেলার ৩৪১ জনের নমুনা পরীা করা হয় যার মধ্যে ফরিদপুরের আট জনের এবং গোপালগঞ্জের ২১ জনের ফল পজিটিভ এসেছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো আজ চারজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ফমেকে টেষ্টের জন্য জেলার ৫০ জনের নমুনা পাঠানো হয়। এর মধ্যে ভাঙ্গা উপজেলার তিনজন ও সদর উপজেলার একজন শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, এরমধ্যে গতরাতে ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টাস থেকে আসা কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর এলাকার সৌরভ নামে এক পুলিশ সদস্যর করোনা পজিটিভ হয়েছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মহসিন মিয়া জানান, সোমবার (২৭ এপ্রিল) জ্বর, মাথা ব্যাথা ও বুকের শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলার আলগী ইউনিয়ন থেকে দুজন এবং ভাঙ্গা পৌরসভার হুগলা ডাঙ্গী এলাকা থেকে অপর একজন নার্স ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নিতে আসেন।
এসময় কোভিড-১৯ এর জন্য হাসপাতালের পৃথক কর্নার থেকে তাদের চিকিৎসাকালে শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় সন্দেহ হলে তাদের সম্মতিতে নমুনা সংগ্রহ করে পরীার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়।
আজ মঙ্গলবার পরীার ফলাফল হাতে পাওয়ার পর আমরা অবগত হতে পেরেছি ওই তিন ব্যক্তির শরীরে করোনা সংক্রমণ রয়েছে।
ভাঙ্গায় প্রথমবারের তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হলো এরা হলেন আলগী ইউনিয়নের রুবেল শেখ (২২), জোসনা বেগম (৪০) ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স শরিফা বেগম (৪৩)।
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ভাঙ্গায় এই প্রথম তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে দুজন একই ইউনিয়নের অন্যজন ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স। আমরা এখন এই বিষয়টি নিয়ে করনীয় নির্ধারণ ঠিক করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো।
অপরদিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থিত পিসি আর ল্যাব এ টেস্টে সদর উপজেলার একজন করোনা পজিটিভ কেস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত সৌরভ (পুলিশ কনস্টেবল) কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মহারাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে এ পদায়িত এবং সোমবার রাতে বাড়িতে আসেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা বলেন, আমরা এই সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তার বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে এবং তাকে উপজেলা প্রশাসনের প থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি আমার মোবাইল নম্বরটি তাকে প্রদান করা হয়েছে যাতে ইমারজেন্সি হলে তিনি সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এলাকার লোকজনকে ও সতর্ক করা হয়েছে যাতে সৌরভ থেকে আর কারো আক্রান্তের খবর পাওয়া না যায়।
এদিকে এনিয়ে জেলায় মোট ১২জন করোনা রোগি শনাক্ত হলো।
প্রসঙ্গত ফমেক হাসপাতালের করোনা ডিটেকটেড হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৫ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ছাড়াও উপসর্গ নিয়ে সন্দেহভাজন আরো ৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে করোনার ভাইরাসের নমুনা পরীার ল্যাব পিসিআর স্থাপনের পর গত ২০ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ৭৫২জনের নমুনা পরীা করা হয়েছে। এতে ২৩জনের ফল পজিটিভ এসেছে।
ফমেক অধ্য প্রফেসর এস এম খবিরুল ইসলাম জানান, আট দিনে ফরিদপুরের ৪১১জনের এবং গোপালগঞ্জ জেলার ৩৪১ জনের নমুনা পরীা করা হয় যার মধ্যে ফরিদপুরের আট জনের এবং গোপালগঞ্জের ২১ জনের ফল পজিটিভ এসেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন