Halloween Costume ideas 2015

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হলো ব্যয়বহুল লিগামেন্ট প্রতিস্থাপন



ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো। হাসপাতালটিতে এবার শুরু হলো লিগামেন্ট ইনজুরির প্রতিস্থাপন চিকিৎসা। যা নিয়ে আশা জাগাচ্ছে রোগীদের। কয়েকদিন পুর্বে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের ব্যয়বহুল লিগামেন্ট প্রতিস্থাপন চিকিৎসা চালু হয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক ট্রমা এবং আর্থোস্কপি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ মুহাম্মদ এ হাসান এউদ্যোগ নিয়েছেন। হাঁটু প্রতিস্থাপন চালু হাওয়ায় ফরিদপুরের চিকিৎসাসেবা আরও একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই অপারেশন শুরু হয়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী অপারেশন করে লিগামেন্ট প্রতিস্থাপন করা হয়। সৌদি আরবে গিয়ে ফুটবল খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে যায় গোপালগঞ্জের রুবেল হোসেনের (২৪)। ব্যয়বহুল হওয়ায় সৌদি আরবে চিকিৎসা করতে না পেরে দেশে ফিরে আসেন রুবেল। এরপর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে পরিচয় হয় ডাঃ মুহাম্মদ এ হাসানের সঙ্গে। তিনি রুবেলের অপারেশন করতে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।  
হাসপাতালের অর্থোপেডিক ট্রমা এবং আর্থোস্কপি বিশেষজ্ঞ সার্জন ডাঃ মুহাম্মদ এ হাসান জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো হাঁটুর লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়া রোগীর কাঁটা ছেড়া না করে অর্থোসকপি মেশিনের মাধ্যমে অপারেশন করা হলো। এর আগে সরকারিভাবে এতদাঞ্চলে এই ধরনের অপারেশন হতো না। আশা করা যায় বৃহত্তর ফরিদপুর সহ আশেপাশের অনেক জেলার ভুক্তভোগী রোগীরা উপকৃত হবেন এখান থেকে সেবা নিয়ে। তিনি বলেন এখন থেকে নিয়মিতভাবে হাঁটুর ব্যয়বহুল লিগামেন্ট ছিড়ে যাওয়া রোগীর অপারেশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করা হবে। তিনি জানান, দেশের হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতালে এ অপারেশন করা হয়, যার সাথে ফরিদপুরের নাম এখন থেকে যুক্ত হলো। আশা করা যায় ভুক্তভোগী রোগীরা বিনামূল্যে এখন থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়মিত এ চিকিৎসা সেবা পাবেন। তিনি আরো বলেন, এর জন্য যে আর্থোস্কপি মেশিনটি লাগে এই মেশিনটি আমি নিজ অর্থায়নে কিনে এনেছি। সেটি দিয়েই এই অপারেশন সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে রুবেলের পিতা ইকরাম মোল্লা বলেন, আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করছি ওই চিকিৎসককে আল্লাহ আরো বেশী মানুষের সেবা করার তৌফিক দেন। তিনি দাবী করেন, বেসরকারী হাসপাতালে এই অপারেশনের যে ব্যায়, তা জোগাড় করে সন্তানকে ভালো করে তোলা ছিলো দু:সাধ্য।  তার (চিকিৎসকের) প্রচেষ্টাতেই এতো বড় একটি অপারেশন বিনা খরচেই করাতে পেরেছি। তিনি দাবী করেন, এই অপারেশনের মাধ্যমে আমার ছেলের যে পঙ্গুত্ব বরণ করেছিলো তা থেকে মুক্তি পেলো। আর এটা ভাবতেই আমার ভালো লাগছে।
রুবেলের বোন আঁখি আক্তার জানান, চার ভাই, এক বোনের পরিবারের মধ্যে রুবেল সবার ছোট। আদরের এই ভাইয়ের পঙ্গুত্ব নিয়ে খুব বেশি টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো কোনদিনই আমার ভাই ঠিক মতো হাঁটতে পারবে না। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী, হাসান স্যারের কারণে আজকে আমার ভাই পঙ্গুত্ব থেকে মুক্তি পাচ্ছে। আশা করছি সামনের দিনে আমার ভাই ঠিক মতো হাঁটতে পারবে।  
এদিকে ফরিদপুরের এই ধরনের চিকিৎসা প্রথম শুরু করায় ডঃ মুহাম্মদ এ হাসানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ আব্দুল গনি আহসান, সহযোগী অধ্যাপক ও ইউনিট প্রধান ডা. সৈয়দ অসিফ উল আলম, ডা. মোঃ শাহীন জোয়ারদার সহ অন্যরা।  
উল্লেখ্য, অর্থোপেডিক সার্জারিতে হাঁটুসহ বিভিন্ন জয়েন্টের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে আর্থোস্কপি ও আর্থোপ্লাস্টি। ফরিদপুর সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সরকারি-বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানেই বিশেষায়িত এ চিকিৎসা খুব একটা নেই। এর আগে ফরিদপুরে ছিলো না কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। ছিড়ে যাওয়া হাঁটুর লিগামেন্ট জোড়া লাগানো অপারেশন চিকিৎসা অত্যান্ত ব্যয়বহুল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরঞ্জামও অপ্রতুল। ফলে অধিকাংশ মানুষ সুচিকিৎসার অভাবে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়। আশা করা হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ এখন থেকে এই অপারেশনের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। #

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

MKRdezign

{facebook#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {twitter#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {google-plus#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {pinterest#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {youtube#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {instagram#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget