ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদী বাসস্টান্ডে, এন-৭, ঢাকা-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের কিছু অংশ দখল করে ঘর তোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির স্থানীয় এক নেতার বিরুদ্ধে। নির্মানাধীন ওই ঘর দ্রুত অপসারনে ফরিদপুরের সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। আর জেলা বিএনপির সভাপতি বলছেন, বিএনপির কেউ ঘর তুলেছে তা জানা নেই।
ওই এলাকার মানুষেরা জানান, এন-৭, জাতীয় মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার ধুলদী বাসস্টান্ড এলাকায় দুটি সেতু রয়েছে। নতুন সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় পুরাতন সেতু দিয়ে সীমিত ও কম ওজনের পরিবহন এবং মানুষ চলাচল করে। যান চলাচল সীমিত থাকায় ওই সড়কের কিছু অংশ জুড়ে দু’একটি অস্থায়ী দোকান বসেছে এরই মধ্যে।
কিন্তু স্থানীয়দের দাবী, গত শনিবার থেকে মাচ্চর ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চুন্নু মোল্লার নেতৃত্বে বিএনপি ঘরানার ২০-২৫ জন মানুষ ওই পাকা (কার্পেটিং) মহাসড়কের উপর ইটের মেঝে তৈরি করে কাঠ ও বাঁশের খুটি দিয়ে প্রায় দুইশ স্কায়ার ফুটের একটি ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত পুরো ঘরের ফ্রেম তৈরি করা হলেও চাল ও ছাউনি দেয়ার অপেক্ষায় ছিলো। এরই মধ্যে ঘটনাটি সংবাদকমীরা রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের নজরে আনলে ব্যপক আলোচনা সৃষ্টি হয়।
এদিকে মঙ্গলবার বিকালে নানা চাপের মুখে স্থাপনাটি অপসারণ করেন ওই নেতা। ঘর নির্মাণকারী মাচ্চর ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চুন্নু মোল্লা জানান, অনেকেই সীমিত চলাচলেও ওই সড়কটি ধীর্ঘ দিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে দোকান তুলে ব্যবসা করছেন। আমরা অনেকেই সম্মিলিতভাবে একটি ক্লাব ঘর তৈরি করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু যেহেতু এটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে তাই ঘরটি অপসারণ করে দেয়া হয়েছে। তবে স্থানীয় বিএনপির কর্মীদের নিয়ে ঘর তোলার চেষ্টা করা হলেও, এ ব্যপারে জেলা বিএনপির কোনো নেতার সাথে কথা হয়নি বলে জানান তিনি।
অন্যান্য দোকান মালিক ও স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করেই ওই ঘরটি তোলা হচ্ছিলো ৩/৪দিন ধরে। ওই সড়কের পাশে আরো অন্তত ৫০ থেকে ৬০ টি দোকান ঘর অবৈধভাবে তুলে অনেকেই ব্যবসা করছেন জানিয়ে তারা আরো বলেন, কেউ কেউ দোকান তুলে ভাড়াও দিয়েছেন। আবার বেশ কয়েকজন সওজ এর জায়গাতেই গড়ে তুলেছেন পাকা অট্রালিকাও।
স্থানীয়রা মনে করেন, শুধু চুন্ন মোল্লার স্থাপনা নয়, সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা এখন সময়ের দাবী।
এদিকে ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ সাইফুল্লাহ সরদার জানান, বিষয়টি জানার সাথে সাথেই ওই ব্যাক্তিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নিতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, সওজ এর জায়গায় অবৈধভাবে দখলে রাখার সুযোগ নেই।
অপরদিকে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোদাররেস আলী ইসা জানান, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোনো ধরনের অন্যায় কাজ করার কেনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, চুন্নু মোল্লা নামে ওই এলাকায় বিএনপির কোনো নেতা আছে বলে আমার জানা নেই। বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দেয়া হবেনা। #
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন