ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা জাটিগ্রামের জাকির হোসেন মিয়ার পুত্র মো. আকাশ মিয়ার নাগরের নানা উদ্যোগ প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের কাছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ওই যুবক বর্তমানে মরিসাসের আজমোক কোম্পানীতে কর্মরত রযেছেন। ভাগ্য ফেরাতে ভিন দেশে কাজের সন্ধানে যাওয়া ওই যুবক দিনরাত পরিশ্রম করে ঘুরিয়েছেন নিজের ভাগ্যের চাকা।
মধ্যবিত্তের গন্ডি পেরিয়ে গেলেও ভুলে যাননি এলাকার মানুষকে। আর তাই করোনার ভয়াল ছোবলে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থাকছেন প্রতিনিয়িত। চাকুরীরত কোম্পানীর মালিক মি. হুসাইন আদমজীকে বুঝিয়েছেন এলাকার মানুষের দুর্দশার চিত্র, প্রতি মাসে মালিকের নিকট থেকে প্রাপ্ত কিছু সহযোগীতার সাথে নিজের উপার্জিত অর্থ যোগ করে নিয়মিত পাশে দাড়াচ্ছেননিজ এলাকা আলফাডাঙ্গা ও শশুরবাড়ীর এলাকা কাশিয়ানী উপজেলার অসহায় মানুষের পাশে।

শুক্রবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে এ ত্রাণ সামগ্রী বিরতলকালে ওই প্রবাসীর পিতা মো. জাকির মিয়া জানান, এ পর্যন্ত আড়াই হাজার মানুষের ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মানুষের পাশে থেকে সহযোগীতা করছেন দাবী করে আগ্রামীতেও এ প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে বলে দাবী করেন তিনি।

এদিকে শুধু ত্রান দিয়েই খান্ত হননি নাগর মিয়া। ঘুর্ণিঝড় আম্পানে নিজ এলাকা ঝাটিগ্রামে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ও নিয়মিত রোজা রাখা এক বৃদ্ধার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর নতুন করে গড়ে দিয়েছেন। ওই বৃদ্ধার দাবী ঘরটি না পেলে অতি কষ্টে দিনযাপন করতে হতো তাকে। তিনি জানান, স্থানীয়রা আমার ভেঙ্গে যাওয়া ঘরের ছবিটি ফেসবুকে দিয়ে দিলে নাগর মিয়ার আত্মীয়রা আমার সাথে যোগাযোগ করেন এবং ঘরটি তুলে দেন।

নাগর মিয়ার ভগ্নিপতি জানান, বিদেশে পরিশ্রমের উপার্জিত অর্থে আলফাডাঙআগর ঝাটিগ্রাম বাজারে একটি চারতলা মার্কেট নির্মাণ করেছেন মো. আকাশ মিয়া নাগর। করোনার কারণে ব্যবসায়ীদের পাশে দাড়াতে সেই মার্কেটের ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীদের কারো নিকট থেকে ভাড়া নেনা তিনি। তিনি জানান, নাগর মিয়ার এই উদারতার কারণে এলাকার মানুষে কাছে প্রশংসিত।
VIDEO : https://youtu.be/RaRit9rYBFg
#
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন