Halloween Costume ideas 2015

দুদকের তিন মামলায় সহকারি সচিবের কারাদন্ড



স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি জমির ভুয়া মাািলক দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারসহ দুদকের দায়ের করা তিনটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সহকারি সচিব (বরখাস্তকৃত) মোহাম্মদ শাহরিয়ার মতিনকে অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের জ্যেষ্ট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় শাহরিয়ার মতিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহড়ায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ তিনটি মামলায় শাহরিয়ার মতিনের সাথে তিন জন কানুনগো, তিনজন সার্ভেয়ার ও ১২জন এল এ চেক গ্রহিতা রয়েছেন। শাহরিয়ার মতিনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগে মামলাটি হয় ২০১৭ সালের ২৪ মে। 

দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীর সহকারি পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে। মামলায় বলা হয় শাহরিয়ার মতিন ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে ওই বছর ২০ মে পর্যন্ত গোপালগঞ্জে ভুমি হুকুম দখল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি ব্যাংক এশিয়া ফরিদপুর শাখায় একটি হিসাব খোলেন। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রæয়ারি ওই হিসেবে ২৫ লাখ টাকা জমা করে অপরাধলব্দ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা আড়াল করে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত সম্পত্তির জ্ঞাতসারে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও লেয়ারিং করে মানিলন্ডারিং প্র্িরতরোধ আইনে অপরাধ করেছেন। 

তিনি গোপালগঞ্জে কর্মরত থাকাকালে ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে দুদক দুটি মামলা করে। ওই ৭৭ লাখ টাকা থেকে তিনি ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে পর্যায়ক্রমে উত্তোলন করে নেন। আদালত এ মামলায় শাহরিয়ার মাতিনকে দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৯৭ লাখ টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। শাহরিয়ার মতিনের বিরুদ্ধে দুদক আর দুটি মামলা করে গত ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট। একুটি মামলার বাদী দুর্নীতি দমন ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর খান। এ মামলায় শাহরিয়ার মতিন, গোপালগঞ্জ এল এ শাখার সাবেক কানুগো রমেশ পাল, সুভেন্দ্র বিকাশ মজুমদার, মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক সার্ভেয়ার মো. কাসেদুল হক, এল এ শাখার মো. ইসমাইল, সার্ভেয়ার মো. মোশাররফ হোসেনসহ ২১জনকে আসামি করা হয়। 

সরকারি মালিকানাধীন জমি ও তার উপর অবস্থিত অবকাঠামো, অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের অর্থ নির্ধারিত বিলে জমা না দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি সাজিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের নামে ২ কোটি ৩১ রাখ ৪৪ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে এ মামলাটি করা হয়। এ মামলার রায়ে শাহরিয়ার মতিন, রমেশ পাল (পলাতক), আব্দুল জব্বার (পলাতক), মো. কাসেদুল হক (পলাতক), মো. ইসমাইল (পলাতক), মো. মোশাররফ হোসেন (পলাতক) কে পেনাল কোড ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে সাত সশ্রম বছর কারাদন্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের প্রত্যেককে আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। 

একই মামলায় হরিপদ সাহাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ লাখ ৮৮ হাজার ৭৬৪ টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, মো. সাজিদ মোল্লাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড ৩৯ লাখ ৭০ হাজার ২৯৪ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, মো. নান্নু শেখকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড তিন লাখ ৩২ হাজার ৫১৪ টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, শেখ ঠান্ডাকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও সাত লাখ ৯১ হাজার ৬৮৩ টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, দেলোয়ার হোসেনকে তিন বছর সশ্রম ও তিন লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড,  মতিয়ার হাজরাকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ৪৬ হাজার ৭৬৯ টাকা জরিমানা, 

জরিমানা অনাদায়ে  এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড, গনেশ ওঝাকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও তিন লাখ ৮৯ হাজার ৫৯৮ টাকিা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, জাহিদুল ইসলামকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও নয় লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, সোহরাব হোসেনকে এক বছর সশ্রম কারদন্ড ও ছয় লাখ ৬২ হাজার ৮৩৭ টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড, ফজলুর রহমানকে এক বছর সশ্রম কারদন্ড এবং সাত লাখ ৩৬ হাজার ৮৯৯ টাকা জরিমানা, অনদাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং লিটু শেখকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড ও চার লাখ ৩৪ হাজার ৪১২টা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।

 দুদকের দায়ের করা আরেকটি মামলার বাদী দুদকের উপসহকারি পরিচালক এনায়েত হোসেন। এ মামলায় মোহাম্মদ শাহরিয়ার মতিন ও কানুনগো মো. আব্দুল জব্বারকে (পলাতক)  দোষী সাব্যস্ত করে পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় এল এ চেক গ্রহিতা মো. রাজিব মিয়াকে (পলাতক)  পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারদন্ড দেওয়া হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের পিপি মো. মজিবর রহমান বলেন, আসামিরা সকল মামলার সাজা এক সাথে বোগ করতে পারবেন। যারা পলাতক আছেন গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে তাদের সাজা কার্যকর হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

MKRdezign

{facebook#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {twitter#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {google-plus#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {pinterest#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {youtube#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {instagram#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget