স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃষ্টি, স্কেল আপগ্রেডশন ও আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিসমূহ আদায়ের লক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের প্রয়াত সাংবাদিক শামসুদ্দীন মোল্লা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ দাবিগুলির বেশির ভাগই পুরনো। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছি। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ দাবিগুলি পূরণ করা না হলে ২ অক্টোবরে সারাদেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।
এরপরও দাবিগুলির বিষয়ে দৃশ্যমসান আগ্রগতি না হলে আগামী ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর তিন দিনের কর্ম বিরতি পালন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কমিটির জেলা শাখার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কমিটির সহ-সভাপতি (ফরিদপুর অঞ্চল) সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটি ফরিদপুর অঞ্চলের যুগ্ম মহাসচিব সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান গোলাম মোস্তফা। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান সময়ে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার প্রতিকুল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও শিক্ষা ক্যাডারকে বিশেষায়িত করা হয়নি।
বঞ্চনা আর বৈষম্যের মাধ্যমে এ পেশাকে সংকুচিত করা হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে ‘শিক্ষা ক্যাডার থেকে বহির্ভুতদের অপসারণ’-এর দাবি জানিয়ে বলা হয়, এই মুহুর্তে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা সাত হাজারের বেশি। অন্য ক্যাডারের মত শিক্ষা ক্যাডার ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতি না হওয়ায় অন্যান্য ক্যাডারের তুলনায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ পিছিয়ে আছেন। শিক্ষা ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত সরকারি কলেজ সমূহে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাস্তরে ৫০ লাখ শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক পদ সৃজন করতে হবে। বর্তমানে শিক্ষা ক্যাডারে কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার।
১২ হাজার ৪৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব আটকে আছে দীর্ঘ নয় বছর ধরে। সংবাদ সম্মেলনে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার সাহা বলেন, শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলা হয়। শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষার ক্ষেত্রে এ সংকট বজায় থাকলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মানসম্মত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই অবিলম্বে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষাঙ্গণের স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ফরিদপুর সরকারি ইয়াছিন কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর হক, সদরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কাকলী মুখোপাধ্যায়, সরকারি রাজেন্দত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ এস এম আব্দুল হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন