স্টাফ রিপোর্টার :
গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় অবস্থিত কুশলি গ্রামে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষনার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে বঙ্গবন্ধু ইন্সটিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস)। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় এই ইন্সটিটিউটের কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীতে ইন্সটিটিউটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু বর্তমানে ইন্সটিটিউটটির বেহাল অবস্থা। প্রশাসনিক সকল কার্যাবলী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ডরমেটরির তৃতীয় তলার দুইটি কক্ষে বসে সম্পন্ন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে বিলওয়াবস কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটিও এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে।
ইন্সটিটিউটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র উচ্চশিক্ষার জন্য গঠন করা হয়, যেখানে এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও গাফিলতিতে উচ্চ শিক্ষার কার্যক্রম অনেকটাই খাতা কলমে আবদ্ধ। বর্তমানে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে তিনজন পিএইচডি এবং ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের দুই জন এমফিল থেকে কনভার্টেশনের মাধ্যমে পিএইচডি গবেষনা শিক্ষা গ্রহন করছে। স্থায়ী ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ছয়জন শিক্ষকের মাধ্যমে চলছে উক্ত প্রতিষ্ঠানের এমফিল ও পিএইচডি গবেষনার কাজ। বঙ্গবন্ধু এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ কোর্সটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগে বাধ্যতামুলক থাকায় এই ইন্সটিটিউট এর শিক্ষকদের কার্যক্রম যেন শুধু ক্লাস নেওয়ার ভিতরেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। পরিচালক নিয়োগে সময়ক্ষেপণ ও যথোপযুক্ত তদারকি এবং সুবিধার অভাবে গবেষণা কার্যক্রমে অংশ নেয়ার তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না এই বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
আর যেসব গবেষণা হচ্ছে সেগুলো বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকদের অধীনে থেকে করা হচ্ছে। ইন্সটিটিউট এর নির্দিষ্ট নিয়মনীতি থাকলেও তা তেমন বাস্তবায়ন হয় না। ইন্সটিটিউট এর স্বতন্ত্র পরিচালক থাকার কথা থাকলেও নেই স্বতন্ত্র পরিচালক। পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু তিনিও বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সময় দিতে পারেন না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইন্সটিটিউট এর কার্যক্রম স্থানান্তরিত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইন্সটিটিউটটির শিক্ষকবৃন্দ। এ ব্যাপারে ইন্সটিটিউট এর সহকারী অধ্যাপক সানিয়া আক্তার বলেন, প্রথমে কুশলীতে কার্যক্রম চললেও পরে প্রশাসনিক ভবনে আনা হয়। আমাদের এটি একটি উচ্চ শিক্ষার ইন্সটিটিউট। এটি একাডেমিক ভবনে নেয়া যেতো।
অথচ আবাসিক ভবনে যেতে বলা হলো আমাদের। আমাদের একটা সেমিনার কক্ষ কিংবা বই রাখার জন্য জায়গা প্রয়োজন ছিলো, সেটিও নেই। এ প্রসঙ্গে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব ভোরের রানারকে জানান পরিচালক নিয়োগের ব্যাপারটি সময়সাপেক্ষ। তাই সকল প্রশাসনিক কাজ সম্পন্ন করে যথাযথ নিয়ম মেনেই ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধু ইন্সটিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ (বিলওয়াবস) এর পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে আমরা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করছি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন