ভাঙ্গা(ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চরদুয়াইড় গ্রামের স্কুল শিক্ষার্থী আদেল উদ্দিন আদুকে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের বিচার ও খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এক মানব বন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাঙ্গা-সদরপুর সংযোগ সড়কের দরগা বাজার নামক স্থানে এলাকাবাসীর আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মানবন্ধনে অংশগ্রহনকারীরা দু,হাত তুলে বিভিন্ন শ্লোগান দেন এবং হত্যাকান্ডে জড়িত সিকিম আলী,আকরাম আলী,হারুনসহ খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। মানববন্ধনে আদেল উদ্দিনের পরিবার ছাড়াও বাজার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ২০১২ সালে স্থানীয় জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী আদেল উদ্দির ওরফে আদু হত্যাকারী সিকিম আলী ,আকরাম গংদের বিচারে অবিল¤ে¦ ফাঁসির দাবী জানান। এ সময় বক্তব্য রাখেন নাসিরাবাদ ইউ,পি আওয়ামীলীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাশেম খান,সাবেক ইউ,পি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান,নিহতের পিতা আঃ খালেক সর্দার,সমাজ সেবক সেলিম রেজা সরওয়ার,সমাজ সেবক আবুল কালাম আজাদ,রফিক সর্দার প্রমুখ। মানবন্ধনে মা শিরিয়া বেগম ও বাবা আঃ খালেক সর্দার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, জমাজমির দ্বন্দে আমার শিশু পুত্রকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। দীর্ঘ্য প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলাটি এখনও বিচার পাইনি।মামলার পর আসামীরা কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে বেরিয়ে এসে আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। আমি সামান্য একজন কৃষক। টাকা-পয়সা এবং আসামীদের অপতৎপরতায় মামলাটির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাশেম খান বলেন,শিশু হত্যা একটি জঘন্য অপরাধ। দীর্ঘ্য প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মামলাটির বিচার না হওয়ায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্্িরয়া সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য যে,জমাজমির দ্বন্দের জেরে গত ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারী উপজেলার চরদুয়াইড় গ্রামের খালেক সর্দারের ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থী আদেল উদ্দিন ওরফে আদুকে উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালীগ্রামের সিকিম আলী(২৮) ও উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চরমানাইর গ্রামের আকরাম মাতুব্বর গংরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। মামলার বিবরনে জানা যায়, ওই স্কুল শিক্ষার্থী ওই দিন স্থানীয় আলম মোল্লার মোড় এলাকায় একটি দোকানে টেলিভিশন দেখতেছিল। হত্যাকারীরা কৌশলে সেখান থেকে ডেকে নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কি.মি.দূরে উপজেলার ব্রাহ্মনপাড়া গ্রামের একটি বিলের মধ্যে গম ক্ষেতের ভিতর মাথা,পা,হাত বিচ্ছিন্ন করে লোমহর্ষক ও পৈশাচিক কায়দায় আদেল উদ্দিনকে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় নিহতের পিতা খালেক সর্দার বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্তভার নিয়ে তৎকালীন ভাঙ্গা থানার এসআই মোতালেব হোসেন জড়িতদের গ্রেফতার করে চার্জশিট প্রদান করেন। কিন্ত আসামীরা কিছুদিন পরই জামিনে বেরিয়ে এসে দোর্দন্ত প্রতাপে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে। দীর্ঘ্য ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও প্রভাবশালী আসামীদের অপতৎপরতায় মামলাটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিৎ হয়ে পড়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন