মফিজুর রহমান মুবিন :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কোরকদি ইউনিয়নের বাঁশপুর গ্রামে রাতের আধারে মরিচের খেতে ঘাস মারা ওষুধ প্রয়োগ করে মরিচ গাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে, রবিবার বিকালে সরজমিনে বাঁশপুর মাঠে ওই মরিচের খেতে গেলে দেখা যায় প্রায় ৪০-৪৫ শতক দুইটি জমির ৩/৪ শতাংশ মরিচ গাছ মরে গেছে উপস্থিত জমির মালিক বাগাট ইউনিয়নের উত্তর পাড়ার মোঃ আয়ুব সরদার বলেন কে বা কাহারা রাতের আধারে আমার মরিচের খেতে ঘাস মারা ওষুধ প্রয়োগ করে এই ক্ষতি করেছে, যারা এই কাজটি করেছে আমি তাদের বিচার চাই ।ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশপুর ফিডার সড়ক অবরোধ করে বাঁশপুর গ্রামবাসী এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এ সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ কয়েক শ' নারী-পুরুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে উপস্থিত মোহাম্মদ হালিম শেখ এর ছেলে মোঃ আসাদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন প্রতারক আহমদ মেম্বার কর্তিক বিক্রয় কৃত জমি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করছি এবং ফসল বিনষ্টকারী সাজ্জাদ ও তার সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করেন আসাদ বলেন প্রতারক আহমদ মেম্বার একই জমি চারবার বিক্রি করেছে ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মুকুল হোসেন এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন এলাকার রাজাকার মৃত আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে সাবেক মেম্বার আহমদ আলী এক জমি একাধিকবার বিক্রয় করেছেন এছাড়া বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে জমি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু নিবার্হী কর্মকর্তা তৎকালীন লুৎফুন্নাহার মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে আহমেদকে জমি জায়গা বুঝিয়ে দিতে বলে এরপর থেকে তিনি বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে থাকেন এক পর্যায়ে সম্প্রতি সময়ে তিনি বাড়িতে এসে সেসব লোকজনকে ফাঁসানোর জন্য নানা ফন্দি-ফিকির আটতে থাকে ।বিষয়টি নিয়ে মধুখালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি সরোজমিনে গিয়েছিলাম কে বা কারা রাতের আধারে মরিচ খেতে ঘাস মারা ওষুধ প্রয়োগ করেছে ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা উদঘাটন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন