Halloween Costume ideas 2015

অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠাই বড় চ্যালেঞ্জ!

বিজয় পোদ্দার : 
করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্থ সারা পৃথিবী। এই বিপর্যয়ে ধারাবাহিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ফরিদপুর জেলার ব্যবসায়ী সমাজ, কৃষিসহ সকল মাধ্যম। টানা লকডাউনের কারনে চরম সঙ্কট আর অর্থনৈতিক ধ্বসে দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে ব্যবসায়ীরা। সাম্প্রতিক চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র এক প্রজ্ঞাপনে ১৬টি শর্ত সমূহে ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় বাণিজ্যিক বিপনীবিতানগুলো খুলে দেওয়া হয়। দু’দিনের মাথায় ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ বাধ্য হন বন্ধ ঘোষণা করতে। কেননা হাজারও মানুষ সামাজিক দূরত্ব না মানা এবং শৃঙ্খলা না আসায় এই পথ বেছে নিতে হয়েছে তাদের। জীবন এবং জীবিকা একে অপরের সম্পূরক। তারপরও মানুষকে বাঁচতে হবে। উঠে দাঁড়াতে হবে। অর্থনৈতিক ভেঙ্গে পড়া কাঠামোকে পুনঃগঠনে কাজ করতে হবে।

ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ব্যবস্থরপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূর ইসলাম মোল্যা বলেন আমাদের প্রতিদিনের বেঁচে থাকার সংগ্রামে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য সচল রাখতে শরীয়তুল্লাহ বাজার সরকারি নিয়ম বিধি মেনে খোলা রাখছি অনেক কষ্টে। সেখানে বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক দল গঠনের মাধ্যমে আমরা সার্বক্ষণিক বাজারে শৃঙ্খলা ও সামাজিক পালনে মনিটরিং করছি। এছাড়া এই দূর্যোগে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে রয়েছি। তিনি আরও বলেন এক কোটি উনচল্লিশ লক্ষ তিতাল্লিশ হাজার টাকায় হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজার ইজারা নিয়ে এখন মহা বিপর্যয়ে পড়েছি। যেভাবে খাজনা আদায় হবার কথা ছিল তা দূর্যোগের কারণে সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি। গত ২৪ মাস বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, করোনা ভাইরাসের কবলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় রয়েছি।

বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়ে ফরিদপুর সিএন্ডবি ঘাট নৌবন্দরের নৌযান মালিক সমবায সমিতির সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন শেখ বলেন দেখতেই পাচ্ছেন কি অবস্থার মধ্যে দিন যাচ্ছে? সমস্ত কার্গো ট্রলার বন্ধ রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কর্মহীন অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা মালিকরাও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি।

ফরিদপুর শহরের আলীপুরের ব্যবসায়ী হায়াত কেমিক্যালস্ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান মাজেদ বলেন, মহা বিপদে রয়েছি আমরা। উৎপাদিত ড্রিংকিং ওয়াটার ও ভলভো ব্যাটারীর এসিড পানি উৎপাদনে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। পণ্য চলছে না। তাছাড়া শ্রমিক নেই। তাদের জীবন জীবিকার ক্ষেত্রে সাধ্যমত খাদ্য অর্থ দিতে হচ্ছে।

শহরের শোভারামপুর এলাকার সাধারণ ব্যবসায়ী শিবাজী-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নন্দিতা পোদ্দার বলেন, বৈশাখ ও আসন্ন ঈদে আমাদের মহা বিপর্যয় চারু ও কারু সম্পন্ন পোষাক বিক্রি করে সারা বছর চলি। কিন্তু এই দুর্যোগে কোন পোষাক বিক্রয় করতে পারিনি। অনেক অর্থ ক্ষতির মধ্যে রয়েছি।

ফরিদপুর হাজী শরীয়তুল্লাহ বাজারের জেরিন এন্টারপ্রাইজ ও জেরিন পোল্ট্রিফার্মের সত্ত্বাধিকারী মোঃ জামাল শেখ জানান লক্ষ লক্ষ টাকার মুরগী ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। ফেসবুক বা নানা অপপ্রচারে পোল্ট্রি মুরগী মাংস কেউ খাচ্ছে না। এতে জেলার অসংখ্য ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ী, বাগাট রাজকুমার মিষ্টান্ন ভান্ডার ও বাগাট মিষ্টান্ন ভান্ডার কর্তৃপক্ষ বলেন গত ২ মাসেরও বেশী সময় ধরে কারখানা ও বিক্রয় কেন্দ্র বন্ধ থাকায় লাখ লাখ ক্ষতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে শ্রমিকদেরকে বসিয়ে বেতন দিতে হচ্ছে। ফরিদপুর জেলায় হাজারও ব্যবসায়ীর চোখে মুখে এখন বিষন্নতা। কবে কাটবে এই দুর্যোগ, কবে মহান সৃষ্টিকর্তার করুনার আলো স্পর্শ করবে। সেই প্রত্যাশা আর ঈশ্বর বন্দনায় রয়েছেন তারা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

MKRdezign

{facebook#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {twitter#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {google-plus#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {pinterest#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {youtube#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL} {instagram#YOUR_SOCIAL_PROFILE_URL}

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget