কক্সবাজার সংবাদদাতা :
রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পেকুয়া উপজেলার
বারবাকিয়া হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই ১৫ টন (৩০০ বস্তা) চাল উদ্ধার করা
হয়েছে।
বিষয়টি পেকুয়া থানার ওসি কামরুল ইসলাম চাল
উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত চালভর্তি বস্তাগুলো রাত সোয়া ৩টা পর্যন্ত পুলিশ পাহারায় ছিল। চালগুলোর কাগজপত্র
দেখে প্রয়োজনীয় তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক মোস্তফা আলী জানান, দিবাগত রাত ১টার দিকে
পেকুয়া থানার পুলিশ তাকে স্কুলে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় স্কুলে রাখা ১৫ টন চাল তার জিম্মায়
দিয়েছে পুলিশ।
প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলী আরও জানান,
রোববার রাত ৯টার দিকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওয়াহিদুর
রহমান ওয়ারেচী স্কুলের নৈশপ্রহরীর কাছে চাবি নিয়ে চালের বস্তাগুলো কক্ষের ভেতরে রাখেন। স্কুলে চালের বস্তা
রাখার বিষয়ে তিনি আগে কিছু জানতেন না।
বারবাকিয়া হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী জানান, স্কুল উন্নয়নের জন্য ১১৭ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়।
এর আগে চাল উত্তোলন করে প্রকল্পের কাজ করা
হয়েছে। রোববার ১৫ টন চাল খাদ্যগুদাম
থেকে উত্তোলন করে বিদ্যালয়ে এনে রাখা হয়েছে।
তবে পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা
মো. আমিনুল ইসলাম জানান, পেকুয়া পিআইও অফিস
থেকে ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচীকে চাল উত্তোলনের জন্য ২৬ এপ্রিল কোনো ডিও দেয়া হয়নি। তিনি চালগুলো সম্পর্কে
কিছুই জানেন না।
পেকুয়া থানার ওসি কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে
বলেন, পুলিশ সব তথ্যপ্রমাণ যাচাই শেষে আইনগত পদক্ষেপ
নেবে। তবে এই পর্যন্ত চালের
মালিক ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচীর পক্ষ থেকে বেশ কিছু বৈধতার কাগজপত্র পাওয়া গেছে। তা সংশ্লিষ্ট সব দফতরের
মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান ওসি কামরুল।
এদিকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে পেকুয়া
থানায় নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদতের কাছে
জানতে চাইলে, তিনি চাল উদ্ধারের বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
তিনি বলেন, যদি চালগুলো সরকারি হয়ে থাকে, তাহলে সে চাল ইউএনও
হিসাবে নিয়ম মেনে বরাদ্দ করা হয়েছে কিনা, সেটি তদন্ত
করে দেখা হচ্ছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন